প্রকাশিত: Sat, Mar 16, 2024 11:59 AM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 2:21 AM

[১]সবজি ব্রয়লার ডিম ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তি নেই, নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের

মাসুদ আলম: [২] অনেক দিন ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে-মধ্যে দাম কিছুটা কমলেও কয়েকদিনের ব্যবধানেই তা আগের অবস্থায় ফিরে যায়। রমজানের এক মাস আগেও থেকেই প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। রমজানের শুরু থেকে সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। তবে বাজার উর্ধ্বমুখীর মধ্যেও সপ্তাহ ব্যবধানে সবজি, ডিম, মুরগি ও পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। অধিকাংশ পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।   

[৩] সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। শিমের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি গাজর ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা, লেবুর হালি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।  আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।  

[৪] মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এক পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৩৭৫ টাকা।  চায়না রসুন ২০০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০-২০ টাকা ।

[৫] ব্রয়লার মুরগির কেজি ২১০ থেকে ২১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  যা গত সপ্তাহে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সোনালি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন ১২৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৩৫ টাকা। 

[৬] গরুর মাংস হরেক রকমের দামে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও ৭২০, কোথাও  ৭৫০, আবার কোথাও ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সরকারিভাবে রাজধানীর ৩০টি স্থানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। 

[৭] সব ধরনের মাছের দাম উর্ধ্বমুখী। বাজারে কম দামি মাছের তালিকায় আছে পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া, যেগুলো সাধারণত ২০০ টাকার নিচেই পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমান বাজারে পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে, যা দুই দিন আগে ২০০-২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।

[৮] ভাটারা মতিন স্টোরের ম্যানেজার আল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম কমেছে। ৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭৫ টাকা।  তবে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি। এছাড়া রমজানে ডিমের চাহিদা কম থাকায় ডজনে ১০ টাকা কমেছে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

[৯] একই এলাকার সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। রমজানে শসা, গাজর ও বেগুনের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়তি। এছাড়া সবজির সিজন শেষের দিকে।  নতুন করে ক্ষেত থেকে উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে। 

[১০] খিলক্ষেত বাজারে বাজার করতে আসা ডলি বেগম বলেন, রোজা ঘিরে কয়েকদিন আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন সেটা অসহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তারপরও সবজির দাম বাড়তি। বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। যে যার খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছে। 

[১১] ভাটারা নতুন বাজার কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা জাবেদ খান বাবু বলেন, রোজার মধ্যেও শান্তি নেই। সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। একটা পণ্যের দাম কমলে অন্যটার দাম বেড়ে যায়। গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে দেখছি মাছ-মাংসের দাম বাড়তি। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব